ঢাকা শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

পরিবেশ সচেতনতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা

ইমরান হোসেন

প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট, ২০২৫, ১১:২৮ রাত

ছবিঃ সংগ্রহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাংলাদেশ এই পরিবর্তনের প্রভাবে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তাপমাত্রা বৃদ্ধি, বন্যা, খরা ও ঘূর্ণিঝড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি এই পরিবর্তনের প্রকট চিত্র। পরিবেশ সচেতনতা এই প্রভাব মোকাবিলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

পরিবেশ সচেতনতা বলতে বোঝায়, মানুষ যখন তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় পরিবেশবান্ধব পন্থা অবলম্বন করে যেমন – জ্বালানি কম ব্যবহার, সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পুনঃব্যবহারযোগ্য উপকরণ ব্যবহার, গাছ লাগানো, প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো ইত্যাদি। এগুলো করলে কেবল পরিবেশ সংরক্ষণ হয় না, কার্বন নিঃসরণও কমে, যা গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর দ্রুততা কমায়।

বাংলাদেশে পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন প্রচারণা ও আইন কার্যকর করেছে। তবে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

বিশেষ করে যুব সমাজকে পরিবেশ সংরক্ষণে অনুপ্রাণিত করা প্রয়োজন, কারণ তাদের শক্তি ও উদ্যম ভবিষ্যতের পরিবেশ নিরাপত্তার ভিত্তি স্থাপন করবে। পরিবেশবান্ধব জীবনযাত্রাকে জনপ্রিয় করে তুলতে সামাজিক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

সার্বিকভাবে, পরিবেশ সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ তার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারবে এবং টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। এই লক্ষ্যে সকলের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।

Link copied!