ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

শীতের শুরুতে হাত–পায়ের চামড়া ওঠা রোধে প্রয়োজন সচেতন যত্ন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:২০ বিকাল

ছবিঃ সংগৃহীত

শীতের শুরু মানেই হালকা ঠাণ্ডা, কমে আসা আর্দ্রতা এবং বাতাসে শুকনা ভাব। আবহাওয়া পাল্টানোর এই সময়ে শরীরের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাত–পায়ের ত্বক। বিশেষ করে যারা বেশি সময় বাইরে থাকেন, বারবার পানি দিয়ে কাজ করেন, ঘরের মেঝে ঠাণ্ডায় স্পর্শ পায় এমন কাজ করেন বা প্রাকৃতিকভাবে যাদের ত্বক শুষ্ক— তাদের হাতে–পায়ের চামড়া ওঠা খুবই সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় এই শুষ্কতা এতটাই বেড়ে যায় যে সাদা সাদা খোসা উঠতে থাকে, চামড়া ফেটে ব্যথা করে এবং দৈনন্দিন কাজে অস্বস্তি হয়। তবে শীত এলেই এই সমস্যা হবে— এমন নয়। একটু সচেতনতা, সঠিক যত্ন এবং নিয়মিত পরিচর্যা থাকলে শীতের পুরো মৌসুমেই হাত–পায়ের ত্বক নরম ও আর্দ্র রাখা সম্ভব।

শীতের শুষ্ক বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায় এবং ত্বক থেকেও দ্রুত বাষ্পীভূত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সারাদিনে অসংখ্যবার পানি, সাবান, মাটি, ধুলা এবং ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে আসায় ত্বকের ওপরের স্তর দ্রুত ফেটে যায় ও খোসা ওঠে। এর পাশাপাশি বারবার সাবান ব্যবহার, গরম পানিতে হাত–পা ধোয়া, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা, ত্বক স্বভাবতই শুষ্ক হওয়া বা একজিমা–অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও ত্বকের ক্ষতি বাড়ে। স্বাভাবিক, শুষ্ক কিংবা মিশ্র— যেকোনো ত্বকের ধরন অনুযায়ী শুরুর শীতেই যত্ন নেওয়া জরুরি। শুষ্ক ত্বকে ঘন টেক্সচারের ময়েশ্চারাইজার, বডি বাটার বা পেট্রোলিয়াম জেলি উপকারী, আর একজিমা আক্রান্তদের জন্য সুগন্ধিবিহীন ও অ্যালার্জি–নিরাপদ পণ্য প্রয়োজন। হাত ধোয়ার পরপরই ময়েশ্চারাইজার লাগানো, রাতে ঘুমানোর আগে ঘন ক্রিম ব্যবহার, চাইলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে মোজা পরে ঘুমানো— এসব অভ্যাস আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

গরম পানি ত্বককে আরও শুষ্ক করে, তাই সবসময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। পাশাপাশি মাইল্ড, স্যালফেট–ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল রক্ষা করে। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া ঠেকাতে রাতে পা ভিজিয়ে ঝামা–পাথর দিয়ে মৃত কোষ তুলে, পরে ভ্যাসলিনধর্মী মলম লাগিয়ে মোজা পরা কার্যকর। খাদ্যতালিকায় ওমেগা–থ্রি, ভিটামিন–ই, ভিটামিন–সি সমৃদ্ধ খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ ভেতর থেকেও ত্বককে আর্দ্র রাখে। বাইরে বের হলে হ্যান্ডগ্লাভস এবং ঢাকা জুতো ব্যবহার ত্বককে ধুলাবালি ও শুষ্কতার ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আর চামড়া উঠলে জোরে ঘষাঘষি না করে প্রাকৃতিকভাবে উঠতে দেওয়া উচিত, নইলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।


 


 


 

 

 

Link copied!